Monday, August 19, 2019

My Training

1) Training Tile: Java programming
     Institute: Ernst & Young LLP
     Location: Dhaka

2) Training Title: Advanced Mobile Game Development
     Institute: ICT  Division
     Location: Jahangirnagar University

3)   Training Title: Android Mobile Application Development
     Institute: ICT Division
     Location: Dhaka

4)  Training Title: Mobile Game Graphics Design
     Institute: ICT  Division
     Location: Jahangirnagar University

My Projects


1) Project Title: Gym Instructor
Project Overview:
This is an Android App. This is actually a fitness app. By using this app we all can easily calculate our BMI(Body Mass Index) and from that BMI it will give us a list of some exercise and provide a routine. 


Technology Used:  Java, Android, XML, sqlite



2) Project Title: Runner Game
     
 Project Overview: 
This is a Runner game. In this game user can select a person, then he will run the whole city and of course there have lots of obstacles for that running person. He have to deal with all those obstacles. There have some point from where he can get coins.That was really a great experience for me. 

Technology Used:  C#, Unity, Blender


3) Project Title: Local App Store

Project Overview: This project is done by java language as my university course project. We have done this project as a team. We have made this locala app store by Java GUI.

Technology Used: Java, GUI

Thursday, August 24, 2017

বর্তমানের চিন্তা ভাবনাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ

আমাদের জীবনে অনেক রহস্য রয়েছে । আমরা প্রতিনিয়ত সেই সব রহস্য সেই সব গুপ্ত জিনিস গুলো খুঁজতে থাকি । সেরকমই কিছু গোপন রহস্য আমরা জানবো ।

এই রহস্য আপনাকে দেবে happiness , health and wealth . আপনি আসলে নিজে যা চান তা কিভাবে করতে পারেন সেই উপায়ও বাতলে দেবে এই রহস্য । আপনি অবশ্যই নির্ধারণ করতে পারেন আপনি আসলে কী চান । এটা কোন ব্যাপার না  সেটা কত বড় মাপের । আপনি কি রকম বাড়িতে থাকতে চান ,  আপনি কি মাপের  ইঞ্জিনিয়ার হতে চান  , আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে চান  , আপনি জীবনে কি রকম সফলতা অর্জন করতে চান ; যদি আপনি সেসব আসলেই মন থেকে চেয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো কি ভাবে পাবেন তাই নিচে বলে দেওয়া আছে  । এটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য ।

আপনি যেখানেই থাকেন না কেন আপনি শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র একটি সূত্রে কাজ করেন এবং সেটি হচ্ছে the law of attraction  ।  আপনার জীবনে সেসব জিনিস আসবে যেগুলো আপনি আপনার নিজের মনের মধ্যে সেট করে রেখেছেন । আপনি যা চিন্তা করেন আপনি আসলে তা ছাড়া কিছুই নয় । আপনার সকল চিন্তা ভাবনার জুড়ে যা আছে সেটাই আপনি ।

একবার একজন বিখ্যাত শিক্ষক বলেছিলেন এ পৃথিবীতে যত প্রকার সূত্র আছে তার মধ্যে the law of attraction হচ্ছে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী । ঠিক যেরকম ভাবে the law of gravity সত্য ,  ঠিক একই রকমভাবে the law of attraction সত্য । আপনি যদি 20 তলার ছাদ থেকে লাফ দেন তাহলে আপনি অবশ্যই নিচে পড়ে যাবেন , the law of gravity এক মুহূর্তের জন্যও চিন্তা করবে না আপনি ভাল মানুষ নাকি খারাপ মানুষ ।

পৃথিবীতে যারা বিখ্যাত হয়েছেন তারা সবাই এই সূত্র কাজে লাগিয়েছেন নিজের মধ্যে । এই পৃথিবীতে মাত্র 1% মানুষ পৃথিবীর মোট টাকার 96 শতাংশ আয় করে থাকে , আপনার কাছে কি এটা নিছক accident মনে হয়  ?  না এটা মোটেও কোনো অ্যাক্সিডেন্ট নয় , তারা অবশ্যই এমন কিছু জানেন যা বাকি 99% মানুষ জানেন না ।

একটা গল্প বলি ,  এক ব্যক্তির প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি ছিল , আবার হঠাৎ করেই একদিন সে সব সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে এবং তার কিছুদিন পর আবার সেই সম্পত্তি নিজের করে তুলে । এখন কথা হচ্ছে এখানে আসলে জীবনের কি রহস্য রয়েছে ? আপনার যখন প্রচুর সম্পদ হয়ে যায় তখন আপনি সেটা নিয়েই চিন্তা করেন, আপনার খুব ভয় হয় যে আপনি হয়তবা সেটা হারিয়ে ফেলতে পারেন , আর আপনার একমাত্র সেই চিন্তার কারণে আপনি সেই সম্পদ হারিয়ে ফেলেন এবং সেই সম্পদ হারিয়ে ফেলার পর আপনার আবার চিন্তা হয় সেই হারিয়ে ফেলা সম্পদ আবার অর্জন করতে হবে আর তখনই আপনি আবার সম্পদ অর্জন করা শুরু করেন  ।

আসলে আমরা আমাদের নিজেদের mindset এর মধ্যে যেসব জিনিস যেভাবে সেট করে রাখি তা সেভাবেই কাজ করে ।  আসলে জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য রয়েছে আপনার চিন্তায়  । একমাত্র একটি কারণেই আপনি আপনার নিজের সম্পদ একবার গড়ে তুলে আবার হারিয়ে ফেলেন এবং সেটি হচ্ছে আপনার চিন্তাধারা ।

জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য যে ব্যক্তির ধরতে পারবেন তারাই জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন  ।  একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট করতে হবে আপনার মন কি চায় , আসলেই কি মন সেটা চায় ? কারন আপনার মন যদি আসলেই কোন কিছু চায় তাহলে তার একটা ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে দেয় এবং আপনি ঠিক সেরকম ভাবে কাজ করতে থাকেন । যখন আপনি যা চান সেটা আপনার নিজের মনের মধ্যে দেখতে পাবেন তখন আপনি সেটা  এমনকি নিজ হাতে ধরতে পারবেন ।  এক সময় দেখবেন আপনার চিন্তা তাই আপনার সবচেয়ে বড় সত্যিতে পরিণত হয়েছে । আমাদের প্রতিটি চিন্তারই একটি নির্দিষ্ট frequency আছে , আমরা অবশ্যই সে frequency নির্ধারণ করতে পারি এবং সেই ক্ষমতা আমাদের মধ্যে আছে । আমরা সবাই আসলে human transmission tower এর মত ।  আপনি যদি জীবনে কোন কিছু পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার চিন্তা-ভাবনার frequency পরিবর্তন করতে হবে । একটা কথা আমাদের সবার মনে রাখা উচিত আমাদের বর্তমান সকল চিন্তা ভাবনাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ ।

Friday, April 28, 2017

একটু একটু করে হলেও বদলাচ্ছে

১০৩ জ্বর ছিলো সেদিন । ভাবলাম আজকে ক্লাসে না যাওয়াটাই ভালো হবে । পরক্ষনেই মনে পড়লো সেদিন ড্যাটা কমিউনিক্যাশন কোর্সের ভাইভা নিবেন স্যার । স্যার কে জানালাম , স্যার বললেন , I've nothing to do . আসো ভাইভা দিয়ে যাও , ১০৩ এইটা কোনো জ্বর হলো ? না আসলে এবসেন্ট দিয়ে দিবো । বের হয়ে পড়লাম বাসা থেকে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে । ঢাকা সিটির উন্নয়নের কারনে জ্যাম আমাদের ছাড়তেই চায় না , তার সাথে আছে এই বৈশাখের ভ্যাঁপসা গরম । জ্যামে বসে বসে ভাবছি এখন একটা কোক বা আইসক্রিম কিনে নিয়ে আসতে পারলে ভালো হতো । কলাবাগান থেকে ঠিকানা বাসে উঠলাম ।
জ্যামে বসে বাসের জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি , দেখলাম একটা বাচ্চা মেয়ে ৭/৮ বছর হবে বোধহয় বাবা-মায়ের সাথে দাঁড়িয়ে একটা আইসক্রিম খাচ্ছে । আইসক্রিম প্রায় শেষ , বাবা-মায়ের হয়তো খুব তাড়া ছিলো তাই মা মেয়েকে বারবার বলছিলো তাড়াতাড়ি আইসক্রিম শেষ করো । মেয়েটা বাকি আইস্ক্রিমটুকু পাশেই একটু দূরে ফেলে দিলো । সাথে সাথে কোথা থেকে যেন মেয়েটির সমবয়সী আরেকটি ছেলে এসে সেই আইস্ক্রিমটির বাকি অংশ তুলে খাওয়া শুরু করলো । মেয়েটি তাকিয়ে আছে ছেলেটির দিকে । জীবনের কঠিন বাস্তবতার এরকম উৎকৃষ্ট প্রমান এইভাবে চোখের সামনে দেখবো ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি । ঘটনার এখানেই শেষ নয় , হয়তো শেষ হতে পারতো এখানেই ।
কিছুক্ষন বাদেই দেখলাম মেয়েটির বাবা আরেকটি একই রকম আইসক্রিম কিনে নিয়ে এনে তার মেয়েটির হাতে দিলো , না তার মেয়ের জন্য নয় । মেয়েটিকে দিয়ে বললো ওই ছেলেটিকে সেই আইস্ক্রিমটি দিয়ে আসতে । মেয়েটি আইস্ক্রিমটি ছেলেটার হাতে তুলে দিলো । বাঁ হাতে কুঁড়িয়ে পাওয়া আইসক্রিম আর ডান হাতে নতুন পাওয়া আইস্ক্রিমটি ধরে বিস্ময়ের সঙ্গে ছেলেটি সেই পরিবারটিকে রাস্তা ধরে দূরে চলে যেতে দেখছে ।
সমাজ বদলাচ্ছে , একটু একটু করে হলেও বদলাচ্ছে ।

Saturday, December 10, 2016

সুন্দরভাবে গুছিয়ে কথা বলা

সাফল্যের পূর্বশর্ত হচ্ছে নিজেকে মেলে ধরা বা আত্মপ্রকাশ। নিজেকে প্রকাশ করার পূর্বশর্ত হচ্ছে কার্যকর কথা বলা এবং কার্যকর কথা বলার পূর্বশর্ত হল পর্যাপ্ত অনুশীলন।

একটি কথা আমার সবসময় মনে হয় আমাদের এই সমাজে আপনাকে টিকে থাকতে হলে অবশ্যই ভালো ভাবে কথা বলতে জানতে হবে । সঠিকভাবে মানুষের সাথে গুছিয়ে কথা বলতে পারা একটি বড় গুন । কিছু কিছু মানুষের এই অসাধারন গুনটি জন্মের পরপরই পেয়ে থাকেন । তবে বেশীরভাগ মানুষ এইগুনটি একসময় রপ্ত করে নিতে শিখেন ।

স্বভাবতই আমরা আমাদের নিজের অভ্যাস ধরে রাখতে চাই ।  অভ্যাস ধরে রাখার ব্যাপারে আমাদেরকে এখন শিথিল হবার সময় এসেছে । এখনকার কর্পোরেট জগতে আপনাকে টিকে থাকতে হলে কথা বলা জানতে হবে গুছিয়ে । নতুবা অন্য একজন বাকপটু আপনার জায়গা দখল করে নিবে । এখন ভাবনা আপনার আপনি নিজেকে কোথায় দেখতে চান । আজকে আপনি ফাঁকি দিয়ে গেলে সেই ফাঁকিতে আপনাকে নিজে থেকেই একদিন পড়তে হবে । এখন সময় এসেছে কথা বলার , আপনারা মনের ভাবটি আশেপাশের সবার সাথে ফুটিয়ে তোলার । মনে রাখবেন আপনি আপনার নিজের হিরো ।

কথা বলার সময় নিজের মধ্যে কোনো জড়তা রাখা যাবে না । কথা বলার সময় নিজেকে বড় ভাবতে হবে । কথা বলার সময় যদি কখনো নিজেকে এমন মনে হয় যে আপনি ভায় পাচ্ছেন , তাহলে ভেবে নিবেন আপনি যার সাথে কথা বলছেন তিনি আপনার চেয়ে বেশি ভয় পাচ্ছেন , তিনি আপনার থেকেও বেশি নার্ভাস হচ্ছেন। আপনি হয়তো কিছু কিছু বিষয়ে তার চেয়েও বেশি জানেন । আপনাকে দিয়েই হবে , নিজের মধ্যে কনফিডেন্স আনতে হবে । কথা না বলে এই যুগে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অন্য কোনো রাস্তা খোলা নেই । তাই আপনাকে অবশ্যই কথা বলতে হবে এবং সেটা গুছিয়ে ।


সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলার কিছু উপায়  ঃ

১) এইটা ঠিক যে সবাই সুন্দর করে কথা গুছিয়ে কথা বলতে পারে না.এক্ষত্রে আপনি বেশি বেশি করে উপন্যাস আর কবিতার বই পড়বেন.পুরানো দিনের ভারতীয় বাংলা মুভি গুলো দেখতে পারেন,ওরা অনেক গুছিয়ে কথা বলে.তারপর আপনি যে কথাগুলো বলবেন তা আগেই মনে মনে সাজিয়ে তুলুন.তারপর বন্ধুর সাথে বলুন.চেষ্টা করুন গল্প বলতে, দেখবেন আস্তে আস্তে হয়ে যাচ্ছে ।

২) আমার মনে হয় ভালো উচ্চারণের জন্য কবিতা পড়তে পারেন | গুছিয়ে কথা বলার জন্য বেশি করে কথা বলুন বন্ধুদের সাথে ।

৩) কথা বলা একটা আর্ট। যা বলতে চান তা বলার আগে সব সময় মনে গুছিয়ে নেবেন! বলার পর ভাববেন না কি বললাম! বলার আগেই ভাববেন। যারা সুন্দর করে কথা বলে তাদের দেখবেন কিভাবে বলে। কিভাবে শব্দ চয়ন করে। আর উচ্চারণে সমস্যা থাকলে খবর শুনতে পারেন। শুদ্ধ উচ্চারনে কথা বলতে পারলে ভাল। আর আঞ্চলিকতা থাকলে তা নিয়ে ভাবার কিছু নাই। sidney sheldon এর বইয়ে পড়েছিলাম dialect যে জানে তার ভাষাসম্পর্কে জানা বেশি থাকে। অর্থাৎ সে তার মাতৃভাষার প্রমিত উচ্চারনের বাইরেও ভাষার আরেকটা form জানে! বাংলা একাডেমীর খুব সম্ভবত প্রমিত উচ্চারন নিয়ে বই আছে। তা পড়তে পারেন!

৪) স্পীচ থেরাপী নিতে পারেন। আপনার ধৈর্য্য ও চেষ্টা থাকলে একদম সহজে এটা সম্ভব। বঙ্গবন্ধু মেডিকেল, ঢাকা মেডিকেল, মিটফোর্ড মেডিকেলে খুব কম খরচে (সর্বোচ্য ১০০০-১২০০ টাকা) করানো হয় । এছাড়া অনেক উন্নমানের প্রাইভেট মেডিকেলে পাবেন।

৫) বই অনেকেই তো পড়ে কিন্তু সবাই কি সুন্দরভাবে কথা বলতে পারে? একবার ভেবে দেখুন তো? সুন্দর করে কথা বলা টা মানুষের একটি বৈশিষ্ট্য যা আয়ত্ত করা যায় প্রশিক্ষণ মানে অনেক অনেক কথা বলে। আপনি ভালো ভাবে উপযুক্ত শব্দের ব্যাবহারে মানুষের সাথে কথা বলতে থাকেন। একসময় দেখবেন আপনিও সুন্দর ভাবে কথা বলতে পারছেন।

৬) আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলা শুরু করুন ।

৭) সবাই গুছিয়ে কথা বলতে পারে না ,  অনেক মানুষ কে এ দেখবেন খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলছে... কারো কারো এটা জন্মগত প্রতিভা, আবার এমন অনেক কে ই আমি দেখেছি যে তারা আগে গুছিয়ে কথা বলতে পারত না কিন্তু একটা নিদৃষ্টি পরিবেশে চলতে চলতে তারা ও এখন শিখে গেছে যে কিভাবে গুছিয়ে কথা বলতে হয়  । যে কথা গুলো বলবেন তার শৃঙ্খলা মনের ভিতর আগে থেকেই তৈরী করুন তারপর বলুন... আর যদি না পারেন তবে শুনুন যে অন্যরা কিভাবে বলে... কোনো একজন ভালো বক্তাকে অনুসরণ করুন আর নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরী করুন... আর বেশি বেশি কথা বলার অভ্যাস করুন, বেশি কথা বলতে গিয়ে আবার অপ্রাসঙ্গিক কথা না বলা ই শ্রেয় ।

৮) ভালো বক্তা হতে চাইলে ভালো শ্রোতা হতে হয় ।  তাই মনোযোগ দিয়ে অন্যের কথা শুনুন  ।  আর ভালো যে কোন লেখকের বই পড়তে পারেন  ।

৯) প্র্যাক্টিস করুন সেটা আয়নার সামনে, বন্ধুদের সাথে, প্রিয়জনদের সাথে যেভাবেই হোক, পাশাপাশি একটা বিষয় মাথায় রাখা উচিৎ, যা নিয়ে কথা বলবেন তা যেন আপনার গুছানো থাকে, তাহলেই হয়ত সম্ভব।

১০) সুন্দর করে গুছিয়ে কথা বলতে চাইলে এর জন্য ললিত কলা একাডেমী তে ভর্তি হতে পারেন. এখানে ভাষা শেখা এবং কবিতা শিখানো হয় তাতে সুন্দর ভাবে কথা বলা শিখা হয় ।

১১) জানা নেই তবে দেশী অনেক গল্প,উপন্যাস বা কবিতা বই গুলো পড়তে পারেন যা আপনাকে গুছিয়ে কথা বলার ক্ষেত্রে অনেক তা ই সাহায্য করবে এবং আপনাকে করতে তুলবে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী ।


তাহলে আজ থেকেই শুরু হোক কথা বলা , আজ থেকেই শুরু হোক সামনে এগিয়ে যাওয়া ।  শুধু কাজ করেই সফল হওয়া যাবে না , আপনার কাজটিকে সবার সামনে সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারলে তবেই সেটাকে প্রকৃত
সফলতা বলা যাবে ।

সুন্দর হোক আপনার কথা বলা । আপনার মুগ্ধতা ছড়িয়ে দিন চারদিকে । শুভকামনা । 

Sunday, September 4, 2016

সব বড় কিছুর পেছনে রয়েছে অসংখ্য ছোট’র অবদান


সব বড় কিছুর পিছনে রয়েছে অসংখ্য ছোট 'র অবদান ।  লেট মি এক্সপ্লেইন , আপনি আজকে যে অবস্থানে আছেন তার জন্য একমাত্র আপনিই দায়ী অন্য কেউ নয় ।  আজকে আপনি ভালো অবস্থানে থাকেন অথবা খারাপ যেরকম  থাকেন না কেনো সেইসবের পেছনে আপনার ভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য কিছুই নেই , সবই আপনার  কর্মফল । আপনার এই ভালো থাকা , খারাপ থাকার পিছনে আপনার নিজের করা আগের ছোট ছোট কাজগুলোই দায়ী ; যেগুলো হয়তো আপনি করেছেন বিগত কয়েকদিনে অথবা বিগত কয়েক মাসে অথবা কয়েক বছরে ।  কিন্তু বিশ্বাস করেন আর নাই বা করেন আপনার করা বিভিন্ন ছোট ছোট কাজই আজ আপনাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে ।  এই অবস্থানে আপনি একদিনে আসেননি আর এইভাবেই চলে আসেননি ।  

আপনার যেকোনো পরিস্থিতি , পরিণতির জন্যও একমাত্র আপনিই দায়ী , এমনকি আপনার অসুখ-বিসুখের জন্যও ।  এখন হয়ত বলবেন অসুখ তো আল্লাহর দান ,এইখানে আমার হাত কোথা থেকে আসলো ।  আল্লাহ প্রদত্ত ঠিক আছে কিন্তু নিজের দায়ভারটাই বেশী । ওই যে বললাম সব বড়  কিছুর পিছনে  অনেকগুলো ছোট'র অবদান ।  আজ তোমার জ্বর এসেছে অথবা ঠান্ডা লেগেছে , তোমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু ভেবে দেখো গতকাল তুমি ফ্রীজ থেকে আইসক্রিম বের করে খেয়েছো পুরোটা  আবার বৃষ্টিতেও ভিজেছো । আইসক্রিম খেতে আর বৃষ্টিতে  ভিজতে তোমার খুব ভালো লেগেছে , তাই আজকের তোমার এমন পরিনতি ।  


আপনার আজ ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে , বিশ্রি একটা রোগ... ডাক্তার বললো এইটা খাওয়া যাবে না ঐটা খাওয়া যাবে না , এই করতে হবে সেই করতে হবে .. আরো কতো নিয়ম কানুন ;  অসহ্য... এতোসব কি মানা যায়? কিন্তু না এখন আপনাকে ডাক্তারের  কথা মানতেই হবে ,  না হলেই বুঝবে ব্লাড সুগারের ঠ্যালা কাকে বলে ;  কিন্তু একসময় এতো নিয়ম কানুন না মেনে শুধুমাত্র সামান্য কিছু কাজ করলেই আপনার হয়তো আজ আর ডায়াবেটিস এর মুখ দেখতে হতো না । মনে করে দেখেন খুব আরামে দিন কাটিয়েছেন আপনি , সেরকম কোন কায়িক পরিশ্রম আপনি করতেন না , খাবার দাবারেও তেমন কোন বাধ বিচার ছিলনা । আজকের ডায়াবেটিস আপনার একদিনের ফল না ... এখন কাজ সকাল বিকাল রুটিন  করে  খাওয়া আর সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করা।


আপনার শরীরে ধরা পড়েছে একটা টিউমার । ডাক্তার বললো অপারেশন করতে হবে । এখন আপনি বলতে পারেন এই টিউমারের জন্য তো আমি কোন ভাবেই দায়ী না । এটা কেন হলো ..?? কিন্তু এর জন্যও আপনি নিজেই দায়ী । মনে করে দেখেন ...মুখরোচক খাবার ছিল আপনার খুবই প্রিয়... সারাদিন ভাজাপোড়া ... এইটা ওইটা খেয়েই চলতেন... ডাক্তাররা বলেন বেশি মশলাদার, তৈলাক্ত, ভাজাভুজি, চর্বিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে টিউমারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। 

এখন কি বলবেন আপনি ?

শেষ পর্যন্ত আজ আপনার বিশাল বড় একটা অসুখ ধরা পড়েছে... ডাক্তার বললো ফুসফুসে ক্যান্সার । বাঁচার উপায় খুবই কম। কিন্তু বিগত ১০ বছর আপনি ধূমপান করেছেন...প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকতো “ধূমপান মৃত্যু ঘটায়” বা “ধূমপান ক্যান্সারের কারণ” কিন্তু আপনি তা বিশ্বাসই করতেন না । আজ এটা তারই ফল ।






এরকম আরো অনেক কিছুই বলা যায় । আপনি মানেন আর না মানেন , বিশ্বাস করেন আর নাই করেন ...আপনার  সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্য শুধুমাত্র আপনি দায়ী । আর ফলটাও আপনাকেই ভোগ করতে হবে । আর যদি তা করতে না চান তবে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান ... কারণ সব বড় কিছুর পেছনেই রয়েছে আপনার অনেকগুলো ছোট ছোট কাজের অবদান ।।। 

পহেলা শ্রাবণে , টাঙ্গুয়ার হাওড়ে

এখানে টলমলে জল আকাশের রং চুরি করে নিত্য খেলা করে, পাহাড়ের কোলে ঘুমিয়ে পরে সাদা মেঘের দল, সারি সারি গাছ প্রতিনিয়ত স্নান করে জলের বুকে যেখানে লুকিয়ে আছে রঙ্গিন বনের বসতি। এখানে সূর্য একরাশ হাসি নিয়ে জেগে উঠে পাহাড়ের বুক চিড়ে , চাঁদ এসে জলের আয়নায় তার রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে থমকে দাঁড়ায়; ঢেউয়ের কোলে দুলতে দুলতে ঘুমিয়ে পড়ে তারার সারি। কল্পনা নয়, সত্যি যেন মর্তের মাঝে স্বর্গের হাতছানি। না, কোন বিদেশ বিভুই নয়, এদেশেরই একটি জায়গা, নাম টাঙ্গুয়ার হাওর।

এখানে হাওরের জল আকাশের রং চুরি করে নীলের ভুবন সাজিয়েছে। মেঘমালা অনেক নিচ দিয়ে উড়ে যায়, দূর থেকে দেখে মনে হয় পানিতে যেন ভাসছে মেঘের ভেলা। সাহিত্যের কোন ভাষা, কোন উপমা দিয়ে সে রূপ বর্ননা করা সম্ভব নয়। উপভোগ করার মাঝেই পরম শান্তি। সীমাহীন এই হাওরে বর্ষাকালে চলে বিশাল ঢেউয়ের রাজত্ব। স্বচ্ছ টলমলে জলের নিচে দেখা যায় ঘাস, গাছ আর লতাপাতা বসতি, যেন জীবন্ত কোন অ্যাকুরিয়াম। কোন রকম ভেলা আর জাহাজ ছাড়াই যখন জলের মাঝে দাড়িয়ে থাকে ছোট ছোট গ্রামগুলো তখন মনে হবে যেন কোন এক অচেনা এক পৃথিবী এটি। গাঁয়ের শিশুরা অবলিলায় জলের বুকে ভাসিয়েছে নৌকাগাড়ি। ঢেউয়ের তোড়ে নৌকা থেকে পড়ে গিয়ে খিলখিল করে হাসে।
অসহ্য সুন্দর টাঙ্গুয়ার প্রাকৃতিক রূপ। পুরো হাওর গাছের সীমানা দিয়ে ঘেরা। সেই গাছও মাথাটুকু বাদে ডুবে আছে নীলের সমুদ্রে। এখানে বাতাস কখনো ক্লান্ত হয়না, এখানে আকাশের নিচে সাদা মেঘের বুক চিরে দাঁড়িয়ে আছে কচি পাহাড়, আর সেই পাহাড়ের কোলে নাচে উদ্দোম, উত্তাল, দুরন্ত হাওরের জল।
টাঙ্গুয়ারে ভ্রমণ
শুরুতেই বলে রাখি টাঙ্গুয়ার হাওড়ে বর্ষায় গেলে এক ধরনের মজা আর শীতের দিনে গেলে সম্পূর্ণ ভিন্ন এক মজা ! আমরা ৭ বন্ধু গিয়েছিলাম বর্ষায় । আমি , Tonu , Rabbi , আকাশ , Abid , Al-Amin এবং Arnob
টাঙ্গুয়ার হাওর বাংলাদেশের সবচেয়ে বৃহৎ জলাশয়। মাছ ,বন, পাখী,জীববৈচিত্র,নির্মল বায়ূ,উন্মুক্ত আকাশ,মেঘালয় এর পাহাড় শ্রেণীর অপরূপ সৌন্দর্য এ গুলিই টাংগুয়ার হাওরের বিশেষ বৈশিষ্ট। জলাশয় গুলি যেন ছোট ছোট সমুদ্র্ । টাঙ্গুয়ার হাওড় হচ্ছে এমনি একটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জায়গা, যা না দেখলে আপনি বিশ্বাসই করতে পারবেন না যে কত রকমের সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে সেখানে। দিগন্ত বিস্তৃত বিশাল হাওর, বিশাল জলরাশি, কিন্তু তা নদী বা সমুদ্রের মতো নয়, অন্য রকমের এক সৌন্দর্য। সাজানো শ্যাওলা যেন সাগর তলার বাগান । মাঝে-মাঝে হিজল বন, জসীমউদ্দীনের কথা মনে করিয়ে দেয়। হাওরের সঙ্গেই হেলান দিয়ে আছে বিশাল শিলং, মেঘালয়ের পাহাড়। সাঁতারের লোভ তো সামলাতেই পারবেন না। কী নেই সেখানে! সংক্ষেপে এটা হতে পারে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন। কিন্তু এর মজাটা সুন্দরবনের চেয়েও আলাদা। কেউ যদি এই কর্মব্যস্ত জীবনে কয়েক দিনের জন্য রুটিন থেকে বেড়িয়ে আসতে চান, চান একটু মুক্ত বাতাস, দিগন্ত বিস্তৃত আকাশ, ঘুরে আসুন টাঙ্গুয়ার হাওরে ।
এ অঞ্চলের জনকন্ঠে প্রচলিত আছে:৬ কুড়ি কান্দা ৯ কুড়ি বিল নিয়ে এ হাওড় টাঙ্গুয়া। সত্যি বলতে কী দিগন্ত ব্যাপ্ত জল আর জল। চিক্ চিক্ তরঙ্গ রাশি। পশ্চিমে কুশিয়ারা নদী পূর্বে যাদুকাটা নদী টাঙ্গুয়া ছুঁয়ে। উত্তরে মেঘালয়। ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় তিন চার হাজার ফিট উচ্চতার সবুজ পাহাড়ে ঘেড়া। নিসর্গে মেঘ পরীদের হামাগুড়ি। বরফ আর নৌহোটেল থাকলে ভূস্বর্গ কাশ্মীরের ডাল লেক কেও হার মানাবে । হাওড়ের তরঙ্গে শৈবাল উদ্যানের বুকথেকে ওঠে কল্লোল। টাঙ্গুয়া ভাসতে থাকে সুর্যোদয়ের লোহিত আলোয়। গোলাবাড়ির হিজল করচ বনে পাখিদের কলরব। টাঙ্গুয়ায় পর্যটনে না এলে এর প্রকৃতি স্বদ মিলে না। তাই পর্যটনের আহ্বান অবকাশে জল ভ্রমণে টাঙ্গুয়ার শোভা দেখে যান।

ট্রেনে করে ঢাকা থেকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ
কমলাপুর থেকে রাত ১১ঃ৩০ টায় আমরা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেই । সকালে মোহনগঞ্জ পৌঁছাই । মোহনগঞ্জ থেকে ট্রলারে করে তাহিরপুর ।
ভাল দেখে নৌকা নেবেন। আশ-পাশের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে হলে ছই-এর উপর সারাদিন কাটাতে হবে। ছই-এর উপরটা টিন সীট দিয়ে মোড়ানো, সাইডে বসবার ব্যবস্থা আছে এমন নৌকা হলে ভাল। টাঙ্গুয়ার হাওড়ের প্রকৃত মজা নিতে হলে এই নৌকাতেই রাত্রি যাপন এবং প্রাকৃতিক ক্রিয়া-কর্ম সারতে হবে... এটা ধরে নিতে পারেন। হাওরের জলে নৌকাভাসান ভ্রমণ যাত্রা হল শুরু। নদীর জলে দাঁড়িয়ে থাকা হিজল করচ গাছের বন পেরিয়ে ছুটে চললো আমাদের নৌকা ।

বর্ষায় টাঙ্গুয়ার হাওড়
বর্ষায় গেলে নৌকাই একমাত্র বাহন। উত্তর দিকে মেঘালয় রাজ্যের খাড়া পাহাড় আর তিন দিকে থৈ থৈ পানি! মাঠ-ঘাট সব পানি আর পানি! ভাটির দেশের প্রকৃত রূপ! সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা আর কিশোরগঞ্জ- এই তিন জেলা জুড়ে বিস্তৃত সেই অদ্ভূত জলরাশি। এই জলরাশির ভিতরেই মেঘালয়ের পাদদেশে টাঙ্গুয়ার হাওড়! বর্ষায় আলাদা করে টাঙ্গুয়ার হাওড় বলে কিছু থাকেনা... সব একাকার! টাঙ্গুয়ার হাওড়ে পৌঁছালেই দেখবেন গভীর কালচে পানি -- অনকে দূর পর্যন্ত কোন গাছ-গাছালীর উপরাংশ পানির উপরে দেখা যাচ্ছেনা! তখনই বুঝবেন আপনি যথাস্থানে পৌঁছে গেছেন।
আকাশ জুড়ে দেখবেন হরেক রকম মেঘ আর মেঘ। বর্ষায় শুধু সকালটা ছাড়া মোটামুটি সারাদিনই বৃষ্টি! সন্ধ্যায় বৃষ্টি একটু ধরে আসলেও মধ্যরাত থেকে আবারও ঝিরঝির বৃষ্টি! আর হ্যাঁ... সূর্য ডোবার আগ দিয়ে নৌকা নিয়ে চলে যাবেন টাঙ্গুয়ার হাওড়ের মাঝখানে.... সে এক অদ্ভূত ভাললাগা দৃশ্য! মনোরম, মোহনীয়!
বর্ষায় দেশী পাখি, যেমন....বক, দু'একটা পানকৌড়ী আর মাছরাঙা ছাড়া তেমন কোন পাখি চোখে পরবেনা । আম, জাম, কাঁঠাল এই জাতীয় পরিচিত গাছ খুব কমই দেখবেন। পরিচিতের মধ্যে তাল গাছটা পাবেন.... আর দেখবেন নাম না জানা নানা ধরনের গাছ গাছালী ।
তাহিরপুর থেকে টেকেরঘাট
তাহির পুর থেকে ট্যাকেরঘাট পর্যন্ত টাঙ্গুয়ার বিস্তির্ণ জলরাশি। মাঝে মাঝে জনবসতি। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের বুকে জীবনের স্পন্দন। বাড়ির সাথে বেঁধে রাখা নৌকা-বর্ষাকালে এখানকার একমাত্র যোগাযোগ মাধ্যম।অবশ্য মোবাইলের কারণে হাওয়াই যোগাযোগের সুবিধাও পাচ্ছে এখানকার মানুষ।
কিছুক্ষণ নদী পথে চলে একটা সময় হাওরে প্রবেশ করে আমাদের নৌকা । আমরা দূর থেকে দেখি পাহাড়ের সারি। মেঘের আড়ালে ঢেকে থাকা পাহাড় হাতছানি দিতে থাকে। পাহাড়ের আরো কাছে চলে আসে নৌকা । পাহাড়ের কোলে মেঘেদের আনাগোনা । আছে ছোটখাটো মানব বসতির চিহ্ন। আমরা যখনই কোন লোকালয় পার হচ্ছিলাম। মানুষজন দাঁড়িয়ে আমাদের দেখছিল। কোন কোন জায়গায় হাত নাড়িয়ে জানাচ্ছিল অভিবাদন। আমরাও প্রত্যুত্তর করছিলাম।
টেকেরঘাট
গোধুলির সোনালী মেঘে এ হাওড় যেন রোম্যান্টিক হয়ে ওঠে। ফুরফুরে বাতাসে নৌকোর ছৈয়ে বসে দোল খাওয়া পর্যটণকে একটা মনোরম মাত্রা এনে দেয়। এ যেন বর্ণনাতিত ভ্রমণ জগৎ।
নৌকোর ছৈয়ের ওপর জলসা। গান কবিতা দর্শণ প্রত ভাবনা অভিব্যক্তি বিকাশ। চাঁদের আলোয় চলছে হাট জলসা। নৌকোর আরাম দোলায় ষোল কলার চাঁদনী রাত হয়ে ওঠছেএকদম ফাটাফাটি ! কবিতার মতো হয়ে ওঠছে ছন্দপ্রাণ। আমি নৌকার ছৈয়ে বসে দেখতে থাকি আকাশ, পানি, পাহাড়, মেঘ আর বিস্তির্ণ প্রকৃতি। মনের কোণে উঁকি দেয় কবিতা লেখার বাসনা । চিল্কার সৌন্দর্য নিয়ে যেমন লিখেছিলেন বুদ্ধদেব বসু! এই সৌন্দর্য আমার দেখা আগের সব সৌন্দর্যকে যেন ম্লান করে দেয়। আমি হারিয়ে যেতে থাকি শাশ্বত বাংলা মায়ের আঁচলে ।
টেকেরঘাটে অবতরণ
ধীরে ধীরে টেকেরঘাটে অবতরণমরা টেকেরঘাটের কাছে পোঁছে যাই। ট্যাকের ঘাটের যতই নিকটবর্তী হচ্ছিলাম পাহাড়ের সৌন্দর্য ততই বাড়ছিল। আকাশের রং একেকবার একেক রকম হচ্ছিল। কখনো বৃষ্টি নেমে আসার ভয় দেখাচ্ছিল। তবু আমরা বৃষ্টিহীন প্রহরেই নামলাম ট্যাকের ঘাট।
আমরা সবাই চলে যাই একটি লেকের কাছে। এখান থেকে একসময় চুনা পাথর তোলা হত। সেই পাথরে চলত ছাতকের চুনাপাথরের কারখানা। বৃটিশরা যাবার সময় এমন কায়দা করে দেশ ভাগ করে যে আমরা পাহাড়ের চুনাপাথরের অধিকার হারাই। বেকার হয়ে যায় পাথর তোলা এবং পরিবহনের শত শত যন্ত্রপাতি। এখনো পড়ে আছে কিছু যন্ত্রপাতি অব্যবহার আর অযত্নে জীর্ণ।
খাওয়া-দাওয়া
হাওরে ঘুরতে ঘুরতে আশে পাশের কোন বাজার থেকে সদায় করে নিতে পারেন। রান্না নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, কেননা নৌকার মাঝিরা মোটামুটি খুব ভাল মানের বাবুর্চি এক এক জন। রান্নার যাবতীয় উপকরনও নৌকায় রয়েছে। এখানকার নৌকাগুলোও চমৎকার। ছইওয়ালা নৌকা, সুতরাং রোদ বৃষ্টির কোন চিন্তা নেই। ছই এর নিচে যেমন অফুরন্ত জায়গা তেমনি ছই এর উপরেও আছে বসার মত জায়গা। আড্ডা দিয়ে আর প্রকৃতি দেখে সময়টা পার করে দিতে পারেন।
কিভাবে যাবেন ?
ঢাকা থেকে যাওয়া
ঢাকা থেকে রাতে রওনা দিতে পারেন ট্রেনে করে । রাত ১১ঃ ৩০ টায় হাওড় এক্সপ্রেস নামে একটা ইন্টার সিটি ট্রেনে করে যেতে পারেন নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে । মোহনগঞ্জ পোঁছাবেন সকালে । সেখান থেকে ট্রলারে করে চলে যাবেন তাহিরপুর । ট্রলার ছাড়বে ৯ টায় । দুপুরের নাগাদ পোঁছে যাবেন তাহিরপুরে । সেখানে দুপুরের খাবারটা সেরে নিয়ে এবার টাঙ্গুয়ার হাওরের জন্য নৌকা ভাড়া করতে হবে । ২৪ ঘন্টার জন্য ৩০০০-৩৫০০ টাকা নিবে । এরপর টেকেরঘাট যাবেন আর ঘুরে আসবেন টাঙ্গুয়ার হাওড় ।
ঢাকায় ফিরে আসা
আসার সময় না হয় বাসে করেই ফিরলেন । তাহিরপুরে এসে সেখান থেকে লেগুনাতে করে চলে আসবেন সুনামগঞ্জ । সুনামগঞ্জ থেকে বাস নিয়মিত আসা-যাওয়া করে সিলেটে । বাসে করে সিলেট এসে সিলেটের বাসে করে ঢাকা চলে আসবেন ।
** যাবার সময় প্রয়োজনীয় টুকি-টাকি কিনে নেবেন। ধুমপানের অভ্যেস থাকলে অন্ততঃ দুইদিনের রসদ সাথে নিতে ভুলবেন না!


** লাইফ জ্যাকেট নিতে ভুলবেন না ।