Sunday, September 4, 2016

সব বড় কিছুর পেছনে রয়েছে অসংখ্য ছোট’র অবদান


সব বড় কিছুর পিছনে রয়েছে অসংখ্য ছোট 'র অবদান ।  লেট মি এক্সপ্লেইন , আপনি আজকে যে অবস্থানে আছেন তার জন্য একমাত্র আপনিই দায়ী অন্য কেউ নয় ।  আজকে আপনি ভালো অবস্থানে থাকেন অথবা খারাপ যেরকম  থাকেন না কেনো সেইসবের পেছনে আপনার ভাগ্য কিংবা দুর্ভাগ্য কিছুই নেই , সবই আপনার  কর্মফল । আপনার এই ভালো থাকা , খারাপ থাকার পিছনে আপনার নিজের করা আগের ছোট ছোট কাজগুলোই দায়ী ; যেগুলো হয়তো আপনি করেছেন বিগত কয়েকদিনে অথবা বিগত কয়েক মাসে অথবা কয়েক বছরে ।  কিন্তু বিশ্বাস করেন আর নাই বা করেন আপনার করা বিভিন্ন ছোট ছোট কাজই আজ আপনাকে এই অবস্থানে নিয়ে এসেছে ।  এই অবস্থানে আপনি একদিনে আসেননি আর এইভাবেই চলে আসেননি ।  

আপনার যেকোনো পরিস্থিতি , পরিণতির জন্যও একমাত্র আপনিই দায়ী , এমনকি আপনার অসুখ-বিসুখের জন্যও ।  এখন হয়ত বলবেন অসুখ তো আল্লাহর দান ,এইখানে আমার হাত কোথা থেকে আসলো ।  আল্লাহ প্রদত্ত ঠিক আছে কিন্তু নিজের দায়ভারটাই বেশী । ওই যে বললাম সব বড়  কিছুর পিছনে  অনেকগুলো ছোট'র অবদান ।  আজ তোমার জ্বর এসেছে অথবা ঠান্ডা লেগেছে , তোমার ভীষণ কষ্ট হচ্ছে । কিন্তু ভেবে দেখো গতকাল তুমি ফ্রীজ থেকে আইসক্রিম বের করে খেয়েছো পুরোটা  আবার বৃষ্টিতেও ভিজেছো । আইসক্রিম খেতে আর বৃষ্টিতে  ভিজতে তোমার খুব ভালো লেগেছে , তাই আজকের তোমার এমন পরিনতি ।  


আপনার আজ ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে , বিশ্রি একটা রোগ... ডাক্তার বললো এইটা খাওয়া যাবে না ঐটা খাওয়া যাবে না , এই করতে হবে সেই করতে হবে .. আরো কতো নিয়ম কানুন ;  অসহ্য... এতোসব কি মানা যায়? কিন্তু না এখন আপনাকে ডাক্তারের  কথা মানতেই হবে ,  না হলেই বুঝবে ব্লাড সুগারের ঠ্যালা কাকে বলে ;  কিন্তু একসময় এতো নিয়ম কানুন না মেনে শুধুমাত্র সামান্য কিছু কাজ করলেই আপনার হয়তো আজ আর ডায়াবেটিস এর মুখ দেখতে হতো না । মনে করে দেখেন খুব আরামে দিন কাটিয়েছেন আপনি , সেরকম কোন কায়িক পরিশ্রম আপনি করতেন না , খাবার দাবারেও তেমন কোন বাধ বিচার ছিলনা । আজকের ডায়াবেটিস আপনার একদিনের ফল না ... এখন কাজ সকাল বিকাল রুটিন  করে  খাওয়া আর সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করা।


আপনার শরীরে ধরা পড়েছে একটা টিউমার । ডাক্তার বললো অপারেশন করতে হবে । এখন আপনি বলতে পারেন এই টিউমারের জন্য তো আমি কোন ভাবেই দায়ী না । এটা কেন হলো ..?? কিন্তু এর জন্যও আপনি নিজেই দায়ী । মনে করে দেখেন ...মুখরোচক খাবার ছিল আপনার খুবই প্রিয়... সারাদিন ভাজাপোড়া ... এইটা ওইটা খেয়েই চলতেন... ডাক্তাররা বলেন বেশি মশলাদার, তৈলাক্ত, ভাজাভুজি, চর্বিজাতীয় খাবার অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে টিউমারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। 

এখন কি বলবেন আপনি ?

শেষ পর্যন্ত আজ আপনার বিশাল বড় একটা অসুখ ধরা পড়েছে... ডাক্তার বললো ফুসফুসে ক্যান্সার । বাঁচার উপায় খুবই কম। কিন্তু বিগত ১০ বছর আপনি ধূমপান করেছেন...প্যাকেটের গায়ে লেখা থাকতো “ধূমপান মৃত্যু ঘটায়” বা “ধূমপান ক্যান্সারের কারণ” কিন্তু আপনি তা বিশ্বাসই করতেন না । আজ এটা তারই ফল ।






এরকম আরো অনেক কিছুই বলা যায় । আপনি মানেন আর না মানেন , বিশ্বাস করেন আর নাই করেন ...আপনার  সাথে ঘটে যাওয়া সবকিছুর জন্য শুধুমাত্র আপনি দায়ী । আর ফলটাও আপনাকেই ভোগ করতে হবে । আর যদি তা করতে না চান তবে আগে থেকেই সাবধান হয়ে যান ... কারণ সব বড় কিছুর পেছনেই রয়েছে আপনার অনেকগুলো ছোট ছোট কাজের অবদান ।।। 

No comments:

Post a Comment