Thursday, August 24, 2017

বর্তমানের চিন্তা ভাবনাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ

আমাদের জীবনে অনেক রহস্য রয়েছে । আমরা প্রতিনিয়ত সেই সব রহস্য সেই সব গুপ্ত জিনিস গুলো খুঁজতে থাকি । সেরকমই কিছু গোপন রহস্য আমরা জানবো ।

এই রহস্য আপনাকে দেবে happiness , health and wealth . আপনি আসলে নিজে যা চান তা কিভাবে করতে পারেন সেই উপায়ও বাতলে দেবে এই রহস্য । আপনি অবশ্যই নির্ধারণ করতে পারেন আপনি আসলে কী চান । এটা কোন ব্যাপার না  সেটা কত বড় মাপের । আপনি কি রকম বাড়িতে থাকতে চান ,  আপনি কি মাপের  ইঞ্জিনিয়ার হতে চান  , আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে চান  , আপনি জীবনে কি রকম সফলতা অর্জন করতে চান ; যদি আপনি সেসব আসলেই মন থেকে চেয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো কি ভাবে পাবেন তাই নিচে বলে দেওয়া আছে  । এটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য ।

আপনি যেখানেই থাকেন না কেন আপনি শুধুমাত্র এবং শুধুমাত্র একটি সূত্রে কাজ করেন এবং সেটি হচ্ছে the law of attraction  ।  আপনার জীবনে সেসব জিনিস আসবে যেগুলো আপনি আপনার নিজের মনের মধ্যে সেট করে রেখেছেন । আপনি যা চিন্তা করেন আপনি আসলে তা ছাড়া কিছুই নয় । আপনার সকল চিন্তা ভাবনার জুড়ে যা আছে সেটাই আপনি ।

একবার একজন বিখ্যাত শিক্ষক বলেছিলেন এ পৃথিবীতে যত প্রকার সূত্র আছে তার মধ্যে the law of attraction হচ্ছে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী । ঠিক যেরকম ভাবে the law of gravity সত্য ,  ঠিক একই রকমভাবে the law of attraction সত্য । আপনি যদি 20 তলার ছাদ থেকে লাফ দেন তাহলে আপনি অবশ্যই নিচে পড়ে যাবেন , the law of gravity এক মুহূর্তের জন্যও চিন্তা করবে না আপনি ভাল মানুষ নাকি খারাপ মানুষ ।

পৃথিবীতে যারা বিখ্যাত হয়েছেন তারা সবাই এই সূত্র কাজে লাগিয়েছেন নিজের মধ্যে । এই পৃথিবীতে মাত্র 1% মানুষ পৃথিবীর মোট টাকার 96 শতাংশ আয় করে থাকে , আপনার কাছে কি এটা নিছক accident মনে হয়  ?  না এটা মোটেও কোনো অ্যাক্সিডেন্ট নয় , তারা অবশ্যই এমন কিছু জানেন যা বাকি 99% মানুষ জানেন না ।

একটা গল্প বলি ,  এক ব্যক্তির প্রচুর পরিমাণ সম্পত্তি ছিল , আবার হঠাৎ করেই একদিন সে সব সম্পত্তি হারিয়ে ফেলে এবং তার কিছুদিন পর আবার সেই সম্পত্তি নিজের করে তুলে । এখন কথা হচ্ছে এখানে আসলে জীবনের কি রহস্য রয়েছে ? আপনার যখন প্রচুর সম্পদ হয়ে যায় তখন আপনি সেটা নিয়েই চিন্তা করেন, আপনার খুব ভয় হয় যে আপনি হয়তবা সেটা হারিয়ে ফেলতে পারেন , আর আপনার একমাত্র সেই চিন্তার কারণে আপনি সেই সম্পদ হারিয়ে ফেলেন এবং সেই সম্পদ হারিয়ে ফেলার পর আপনার আবার চিন্তা হয় সেই হারিয়ে ফেলা সম্পদ আবার অর্জন করতে হবে আর তখনই আপনি আবার সম্পদ অর্জন করা শুরু করেন  ।

আসলে আমরা আমাদের নিজেদের mindset এর মধ্যে যেসব জিনিস যেভাবে সেট করে রাখি তা সেভাবেই কাজ করে ।  আসলে জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য রয়েছে আপনার চিন্তায়  । একমাত্র একটি কারণেই আপনি আপনার নিজের সম্পদ একবার গড়ে তুলে আবার হারিয়ে ফেলেন এবং সেটি হচ্ছে আপনার চিন্তাধারা ।

জীবনের সবচেয়ে বড় রহস্য যে ব্যক্তির ধরতে পারবেন তারাই জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারবেন  ।  একজন মানুষ হিসেবে আপনাকে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট করতে হবে আপনার মন কি চায় , আসলেই কি মন সেটা চায় ? কারন আপনার মন যদি আসলেই কোন কিছু চায় তাহলে তার একটা ছবি আপনার মনের মধ্যে এঁকে দেয় এবং আপনি ঠিক সেরকম ভাবে কাজ করতে থাকেন । যখন আপনি যা চান সেটা আপনার নিজের মনের মধ্যে দেখতে পাবেন তখন আপনি সেটা  এমনকি নিজ হাতে ধরতে পারবেন ।  এক সময় দেখবেন আপনার চিন্তা তাই আপনার সবচেয়ে বড় সত্যিতে পরিণত হয়েছে । আমাদের প্রতিটি চিন্তারই একটি নির্দিষ্ট frequency আছে , আমরা অবশ্যই সে frequency নির্ধারণ করতে পারি এবং সেই ক্ষমতা আমাদের মধ্যে আছে । আমরা সবাই আসলে human transmission tower এর মত ।  আপনি যদি জীবনে কোন কিছু পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই আপনার চিন্তা-ভাবনার frequency পরিবর্তন করতে হবে । একটা কথা আমাদের সবার মনে রাখা উচিত আমাদের বর্তমান সকল চিন্তা ভাবনাই হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ ।

Friday, April 28, 2017

একটু একটু করে হলেও বদলাচ্ছে

১০৩ জ্বর ছিলো সেদিন । ভাবলাম আজকে ক্লাসে না যাওয়াটাই ভালো হবে । পরক্ষনেই মনে পড়লো সেদিন ড্যাটা কমিউনিক্যাশন কোর্সের ভাইভা নিবেন স্যার । স্যার কে জানালাম , স্যার বললেন , I've nothing to do . আসো ভাইভা দিয়ে যাও , ১০৩ এইটা কোনো জ্বর হলো ? না আসলে এবসেন্ট দিয়ে দিবো । বের হয়ে পড়লাম বাসা থেকে ভার্সিটির উদ্দেশ্যে । ঢাকা সিটির উন্নয়নের কারনে জ্যাম আমাদের ছাড়তেই চায় না , তার সাথে আছে এই বৈশাখের ভ্যাঁপসা গরম । জ্যামে বসে বসে ভাবছি এখন একটা কোক বা আইসক্রিম কিনে নিয়ে আসতে পারলে ভালো হতো । কলাবাগান থেকে ঠিকানা বাসে উঠলাম ।
জ্যামে বসে বাসের জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে আছি , দেখলাম একটা বাচ্চা মেয়ে ৭/৮ বছর হবে বোধহয় বাবা-মায়ের সাথে দাঁড়িয়ে একটা আইসক্রিম খাচ্ছে । আইসক্রিম প্রায় শেষ , বাবা-মায়ের হয়তো খুব তাড়া ছিলো তাই মা মেয়েকে বারবার বলছিলো তাড়াতাড়ি আইসক্রিম শেষ করো । মেয়েটা বাকি আইস্ক্রিমটুকু পাশেই একটু দূরে ফেলে দিলো । সাথে সাথে কোথা থেকে যেন মেয়েটির সমবয়সী আরেকটি ছেলে এসে সেই আইস্ক্রিমটির বাকি অংশ তুলে খাওয়া শুরু করলো । মেয়েটি তাকিয়ে আছে ছেলেটির দিকে । জীবনের কঠিন বাস্তবতার এরকম উৎকৃষ্ট প্রমান এইভাবে চোখের সামনে দেখবো ঘুণাক্ষরেও ভাবিনি । ঘটনার এখানেই শেষ নয় , হয়তো শেষ হতে পারতো এখানেই ।
কিছুক্ষন বাদেই দেখলাম মেয়েটির বাবা আরেকটি একই রকম আইসক্রিম কিনে নিয়ে এনে তার মেয়েটির হাতে দিলো , না তার মেয়ের জন্য নয় । মেয়েটিকে দিয়ে বললো ওই ছেলেটিকে সেই আইস্ক্রিমটি দিয়ে আসতে । মেয়েটি আইস্ক্রিমটি ছেলেটার হাতে তুলে দিলো । বাঁ হাতে কুঁড়িয়ে পাওয়া আইসক্রিম আর ডান হাতে নতুন পাওয়া আইস্ক্রিমটি ধরে বিস্ময়ের সঙ্গে ছেলেটি সেই পরিবারটিকে রাস্তা ধরে দূরে চলে যেতে দেখছে ।
সমাজ বদলাচ্ছে , একটু একটু করে হলেও বদলাচ্ছে ।